সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪

কারুপন্য রংপুর লিমিটেড


 

বাংলাদেশের রংপুরে অবস্থিত কারুপন্য রংপুর লিমিটেড কারখানা যেখানেই এই অসহ্য গরমেও লাগে না এসি- ফ্যান

😊
কারখানা ৭ টি তলা।এই কারখানা টা হচ্ছে সতরঞ্জি বানানোর কারখানা।সতরঞ্জি হচ্ছে এক বিশেষ ধরনের কার্পেট। কারখানা টা সম্পুর্ন লতা পাতা দিয়ে ঘেরা।এমন ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে কারখানার ভেতরের তাপমাত্রা সব সময় বাইরের থেকে ৪-৫ ডিগ্রি কম থাকে।তাপমাত্রা এত কম থাকার পেছনে রহস্য হচ্ছে এই কারখানায় ৪ টা জলাশয় আছে।এই জলাশয় গুলার প্রত্যেক টা প্রায় ৫ লাখ লিটার পানি ধরে রাখতে পারে। বাইরের দিকে প্রচুর গাছপালা থাকার কারনে বাইরের বাতাস যখন গাছপালা, পানির উপর দিয়ে যায় তখন বিল্ডিং ভেতর ৪ টি স্তম্ভ রয়েছে যেখানে বাতাস ঘুরে ঘুরে বিল্ডিং চারপাশে চলে যায়।ফলে পরিবেশ সব সময় ঠান্ডা থাকে। গরমের কোনো তাপদাহ সহ্য করা লাগে না।ফ্যান - এসি লাগে না এজন্যই।এভাবেই তারা বছরের পর বছর বিদ্যুৎ বিলের লাখ লাখ টাকার খরচ বাচিয়েছে।
এই কারখানায় যারা কাজ করে তাদের অনেক সুবিধা ও রয়েছে। যেমন বাচ্ছাদের দেখা শোনা করা,চিকিৎসা ব্যবস্থা সহ কেউ কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে চাইলেও সে ব্যবস্থা ও রয়েছে এই কারখানায়।
বাংলাদেশে প্রত্যেক টা কারখানা এমন হতো কতই না সুন্দর হতো তাই না।
১ মে ছবিগুলা দেখে ভাবছি হয় চীন,সুইজারল্যান্ড বা অন্য কোথাও।কিন্তু বাংলাদেশের রংপুরে জেনে অবাক হয়েছি।সত্যি এই প্লানিং ডিজাইনের চিন্তাকারী কারখানার মালিককে আমার স্যালুট।অনেক শ্রদ্ধা ভালবাসা রইল উনার প্রতি।
খুব দেখতে ইচ্ছা করছে কারখানাটি।বাইরের দেশে দেখা গেলেও এটা আমাদের দেশে বিরল।এজন্যই বলে শিক্ষার প্রয়োজন অনেক অপরিসীম।
বাঙ্গালী চিন্তা করে গাছ রেখে কি লাভ,বিল্ডিং মার্কেট করলে তো টাকা আসবে বছর মাসে।
এছাড়া এসময়ে এই গরমে গাছপালা লাগানোর সময় না।কিন্তু বর্ষার সময় পরিবেশ ঠান্ডা থাকায় তখন গাছ লাগানোর প্রয়োজন বোধ করে না কেউ এটাই যা মানসিক সমস্যা।
এজন্যই শিক্ষার অনেক প্রয়োজন।যেসব কনটেন্ট ক্রিয়েটর ছাড়া বাকি সবাই আপনারা যারা গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছেন অসংখ্য ধন্যবাদ।
আশাকরি এই বছরের পর আমাদের এই তাপদাহ আর সহ্য করা না লাগে আমরা এত পরিমানে গাছ লাগাতে পারি।
৬-৭ জন অলরেডি হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।আর রিসেন্ট খবর অনুযায়ী ২৮-২৯ এপ্রিল তাপমাত্রা ৪৫+ হতে পারে ঢাকা,যশোর,রাজশাহী সহ বিভিন্ন জায়গায়। যার জন্য বাইরে যেতেই মানা করা হয়েছে। অনেকটা করোনার ভাইব
😥😥
গতকাল ও দেখলাম ঢাকার কোথায় জানি ৫৫ টা গাছ কাটা হয়েছে নগর করার জন্য।দেখলেই বুক কেপে উঠছে।প্রকৃতি কঠিন মৃত্যুর শাস্তি না দিলে হয়তো এদের শান্তি হবে না
😥😥😥

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন