"ওয়ারেন বাফেট আমাদের দেশের এনালিস্টদের স্টপলস তত্ত্ব দিয়ে শ্রেষ্ঠ শেয়ার ব্যবসায়ী হন নি। তিনি সম্ভাবনাময় ভালো শেয়ারে দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ করে শ্রেষ্ঠ ধনী/ সফল হয়েছেন।"
সবাই সম্মিলিত ভাবে স্টপ লস দিলে মার্কেটের অবস্থা যেমন হওয়ার তেমনি হচ্ছে! আমাকে অনেকে হুমকি দিল কেন আমি এটা নিয়ে লিখেছি? আরে ভাই গাছেরই যদি অস্তিত্ব না থাকে তার ফল আশা করব কিভাবে? মার্কেটের সবাই গেমলার হলে, স্টপলস দিলে ইনভেস্টর হবে কে? সবাই নেতা হলে সদস্য হবে কে? সবাই মন্ত্রী হলে জনতা হবে কে? মার্কেট নিয়ে এনালাইসিস কারী যারা, যারা সবার মনে মগজে স্টপলস নামক কীট ঢুকিয়ে দিয়েছেন তার ফল আমরা গত ৭/৮ বছর যাবত সবাই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। এই স্টপ লসের রোগ সারাবে কে?
বিখ্যাত ধনকুবের ওয়ারেন বাফেট
সম্পদের পরিমাণ: ১০ হাজার ৬৪০ কোটি ডলার
উৎস: বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে
বয়স: ৯৩ বছর
বসবাস: ওমাহা, নেব্রাস্কা
নাগরিক: ইউএস
তিনি পরিচিত ‘ওরাকল অব ওমাহা’ বা ওমাহার দৈববক্তা হিসেবে। ওয়ারেন বাফেট ইতিহাসের অন্যতম সফল একজন বিনিয়োগকারী। তিনি বিনিয়োগ কোম্পানি বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে। আর তাদের মালিকানায় আছে বেশ অনেকগুলো কোম্পানি। এর মধ্যে রয়েছে ইনস্যুরেন্স কোম্পানি গেইকো, ব্যাটারি প্রস্তুতকারক ডিউরাসেল এবং রেস্তোরাঁ চেইন ডেইরি কুইন।
মার্কিন একজন কংগ্রেস সদস্যের পুত্র ছিলেন তিনি। বাফেট জীবনের প্রথম শেয়ারটি কেনেন ১১ বছর বয়সে, আর প্রথমবারের মতো কর দেন ১৩ বছর বয়সে।
বিল গেটস এবং মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটসের সঙ্গে মিলে তিনি ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘গিভিং প্লেজ’। তাঁরা কোটিপতিদের কাছে আহবান জানান, তাঁরা যেন অন্ততপক্ষে তাঁদের সম্পদের অর্ধেক দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করেন। বাফেট জানান, তিনি তাঁর সম্পদের ৯৯ শতাংশ দান করবেন।
তিনি এখন পর্যন্ত গেটস ফাউন্ডেশন এবং তার নিজের সন্তানদের দাতব্যে বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের ৫ হাজার ১৫০ কোটি ডলার দামের শেয়ার দান করেছেন। আর এই দান তাঁকে এই পৃথিবীর সবচেয়ে উদার শতকোটিপতির মর্যাদা দিয়েছে।
সর্বকালের সেরা বিনিয়োগকারী বলে মানা হয়। ওয়ারেন বাফেট কেবল বিনিয়োগ নয়; তিনি এখন বিশ্বের সবচেয়ে বড় জনহিতৈষীদের একজন। তিনি তার সম্পদের ৯৯ শতাংশই দানের ঘোষণা দিয়েছেন। কেবল ঘোষণা দিয়ে থেমে থাকেননি, সবশেষ চারটি পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠানে বার্কশায়ার হাথাওয়ের প্রায় ৮৭ কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার দান করেছিলেন বিশ্বের এই পঞ্চম শীর্ষ ধনী। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৪২০ কোটি মার্কিন ডলার। তবে বছর না পেরেতেই তার সম্পদের পরিমাণ যার ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১১৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। সে হিসাবে তিনি এখন বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ ধনীর একজন। বিনিয়োগকারী বাফেট জীবনের প্রথম শেয়ারটি কেনেন ১১ বছর বয়সে। ১৪ বছর বয়সে তার প্রথম ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করেন। একসময় হকারের কাজ করতেন। সংবাদপত্র, বই বিক্রি করতেন। এমনকি কাজ করেছেন মুদি দোকানেও। সেখান থেকে ব্যবসার পথচলা। ধীরে ধীরে বনে যান বিশ্বের সেরা বিনিয়োগকারী। তিনি এখন বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ১৯৬৫ সালে ডুবতে থাকা এই প্রতিষ্ঠান কিনেছিলেন। এখন প্রতিষ্ঠানটির মোট সম্পদ ৭০ হাজার ২০৯ কোটি ডলারের। গত বছর প্রতিষ্ঠানটি ৪ হাজার ৪৯৪ কোটি ডলার মুনাফা করেছে। এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৬৫টি।
বাফেটের সম্পদের ৭৮% বিনিয়োগ যে ৬ শেয়ারে।
আর বাজারে ভোক্তার চেয়ে প্রডাক্ট বেশি তারপরও নিত্য নতুন শেয়ার নিয়ে এসে এটাকে স্বর্গে উঠিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় যার মাথায় পরে। গত ১৫ বছরে যত শেয়ার এসেছে বেশির ভাগই এখন তলানীতে পরে আছে। এর দায়ভার কার?
বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার এবং ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারের তুলনায় স্টক মার্কেট বড় হয়নি।
বাজার পরিস্থিতি কখনো কিছুটা ভালো হয়, আবার কিছুদিন পরেই মুখ থুবড়ে পড়ে। সূচক যখন নিচের দিকে নামতে থাকে তখন সেটি নামাতেই থাকে।
নতুন শেয়ার এলেই কোম্পানির মৌলভিত্তি, শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ও আয়, লভ্যাংশ দেয়ার সম্ভাবনা বিবেচনা না করেই হুমড়ি খেয়ে পড়েন অনেক বিনিয়োগকারী। তালিকাভুক্ত রবি, এনার্জি প্যাক ও মীর আকতার, ইউনাইটেড এয়ার,ডমিনোস, ক্রিস্টাল
ইন্স্যুরেন্সের, সেনা কল্যান ইন্স্যুরেন্সের আরও অনেক কোম্পানির শেয়ার উচ্চমূল্যে কিনে বিপুল লোকসান দিয়েছেন এর শেয়ার সর্বোচ্চ দামে উঠার পরে যারা কিনে ধরে রেখেছিলেন।
সম্প্রতি বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারের শুরুর প্রথম কয়েকদিন আইপিওতে প্রাপ্ত কেউ শেয়ার বিক্রি করতে চান না। দর বেড়ে যখন অতিমূল্যায়িত হয়ে যায় তখন বিক্রি করা হয়, আর সাধারণ বিনিয়োগকারীরা সেগুলো ক্রয় করে লোকসানে থাকে।’
তিনি বলেন, ‘না বুঝে শেয়ার কেনার পর যখন ক্রমাগত দর কমতে থাকে, তখন তারা হতাশ হয়। এজন্য শেয়ারের দর যখন অতিমূলায়িত হয়ে যায় তখন না কেনাই শ্রেয়।
আমরা ছোট বড় সব বিনিয়োগকারীই ভুল পথে আছি। সবাই মিলে স্টপ লস দিয়ে মার্কেট কে তলানীতে নিয়ে কর্তৃপক্ষ ও সরকারের উপর দোষ চাপাচ্ছি। সরকার আইসিবিকে দিয়ে
অনেকবার চেষ্টা করেছে বাজারকে স্থিতিশীল করার কিন্তু পারেনি বরং এই প্রতিষ্ঠান হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে অনেক টাকা লস দিয়েছে। একটি সহজ কথা হল নৌকার মাঝি যতই পাকা হোক না কেন এর সব যাত্রীরা নৌকায় উঠে যদি ইচ্ছে মত নাচানাচি করে সে নৌকা ডুবে যাওয়া থেকে ঠেকাবে কে?
আমাদের এই মহা সত্য বিষয়টাকে
বিনিয়োগ কারীদের বুঝাবে কে? নাম দিয়েছে স্টপলস এখন আবার প্রযুক্তির ছোয়ায় হয়ে যাচ্ছে সম্মিলিত স্টপলস।
"প্রতিনিয়ত নিজের ঘরে নিজে আগুন দিয়ে রাস্তায় নেমে চিল্লাপাল্লা করলে হবে যে আগুন আগুন!! কে আসবে প্রতিদিনের আগুন নেভাতে?"
আমরা সবাই মিলে পাত্র ছিদ্র করব আর সরকারকে/অন্যকে বলব তেল ঢালতে?
ছিদ্র পাত্রে আর কত তেল ঢাললে পাত্র ভর্তি হবে? আবার বাজার এনালাইসিসকারীদের সম্মিলিত উদ্যোগই পারে শেয়ার বাজারকে তার পূর্ণ যৌবন ফিরিয়ে দিতে। তাদের এনালাইসিস এর মূলমন্ত্র হবে বিনিয়োগ করুন, ধৈর্য ধরুন মূলধন আপনার দ্বিগুন করুন। অতএব যারা এর শুরু করেছিলেন যারা এর প্রবর্তক তারা আবার আপনার স্লোগান পরিবর্তন করুন, বেশি বেশি প্রচার করুন আসুন ভালো শেয়ার দেখে ইনভেস্ট করি, শেয়ারবাজার তথা দেশকে / নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করি।"
সংগৃীহিত
♦️♦️♦️♦️♦️কথাগুলো ভাল লেগেছে তাই দিলাম🎯
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন