মহাকাশের প্রতিটি গ্যালাক্সিতে একজন করে শীর্ষ নেতা আছেন যিনি গোটা গ্যালাক্সিকে শাষন করছেন। যাকে ঘিরে সব নক্ষত্ররা ভয়ে থাকে। ভয় পাবার কারনও আছে। কারন এই নেতা ভীষন রাগী এবং ক্ষুধার্ত। এতটাই রাগী যে ওনার গা দিয়ে সবসময় রেডিয়েশন হতে থাকে। আর সেই রেডিয়েশন বলয়ের মধ্যে নক্ষত্ররা এলেই তিনি খপ করে খেয়ে ফেলেন। কথা হলো এই বদমেজাজি নেতার পরিচয় কী?
মোটা দাগে ১৯৬৪ সাল থেকে তিনি ব্ল্যাক হোল নামেই পরিচিত। আমাদের যেমন নাম থাকে, তেমনি প্রতিটি গ্যালাক্সিতে ব্ল্যাক হোলের আলাদা নাম আছে। আমাদের ছায়াপথে থাকা ব্ল্যাক হোলের নাম-সাজিটারিয়াস-এ। একেবারে নিখুঁত ছন্দে-তালে প্রায় ৩শো বিলিয়ন তারা ঘুরছে এই সাজিটারিয়াস ব্ল্যাক হোলকে ঘিরে। ওদের মধ্যে আমাদের সূর্যও আছে। প্রায় ১কোটি ২০লক্ষ কিলোমিটারের এই ব্ল্যাক হোলকে একবার চক্কর দিয়ে আসতে সূর্যের সময় লাগে ২২০ মিলিয়ন বছর । সে হিসেবে পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে সূর্য মাত্র ১৩বার এই কাজটা করতে পেরেছে। প্রতিবারই সূর্যকে খুব সাবধানে ঘুরতে হয়েছে, কারণ একটু এদিক-সেদিক হলেই সোজা ব্ল্যাক হোলের পেটের মধ্যে হারিয়ে যেতে হবে।
প্রশ্ন হলো:
ব্ল্যাক হোল কেন এত ক্ষুধার্ত ?
এর ভেতরে হারিয়ে গেলে পরিনতি কি হয় ?
কালপুরুষের ১৯টি তারা একটি যে ব্ল্যাক হোলের পেটে চলে গেছে সেটা আমরা কতজন জানি ?
যেভাবে সূর্যের ভেতরকার হাইড্রোজেন কমে আসছে, তাতে সূর্যের আয়ু খুব বেশী হলে আর ৪ বিলিয়ন বছর। এরপর কী হবে?
শ্বেত বামন কি সূর্যের দায়িত্ব পালন করতে পারবে ?
আমাদের পৃথিবীর মধ্যেও যে খুব ছোট ছোট ব্ল্যাক হোল আছে সেটা কী আমরা জানি?
শোনা তো যায় ব্ল্যাক হোলের দাপট আছে বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে। আবার এটাও বলা হয় ব্ল্যাক হোলের সাথে মানুষের জীবন জড়িত আছে।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন