সপ্তাহের তৃতীয় কর্মদিবস শেয়ারবাজারে বড় পতন হয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ সূচক কমেছে ৮১ পয়েন্টের বেশি। এদিন সূচক পতনের পাশাপাশি লেনদেনেও দেখা গেছে বড় পতন। আর লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ১১ গুণের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। যার মধ্যে শেষ বেলায় দেড় শতাধিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট ছিল ক্রেতাহীন।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের রিজার্ভ গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে গেছে-এমন একটি খবর আজ গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে। এই খবরের কারণেই মূলত বাজারে আজ বড় পতন হয়েছে। তাঁদের মতে, বাজার যেখানে সামনের দিকে যাওয়ার কথা, সেখানে রিজার্ভের নেতিবাচক খবরে বাজার আবারও বড় আকারে ধাক্কা খেল।
তাঁরা আক্ষেপ করে বলছেন, দেশে-বিদেশে খারাপ কিছু হলেই শেয়ারবাজারে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বাজার অনর্থক চাপেতৈরি হয়। অথচ দেশে-বিদেশে ভালো কিছু হলে এর ইতিবাচক প্রভাব শেয়ারবাজারে দেখাই যায় না।
তাঁরা বলছেন, বর্তমানে গোটা বিশ্ব আর্থিক চাপে রয়েছে। তারপরও বিশ্বের প্রায় শেয়ারমার্কেটেরই রেকড উত্থানের খবর আসছে। কিন্তু বাংলাদেশের শেয়ারমার্কেট এর ব্যতিক্রম। এখানে খারাপ খবরের চাপ দেখা যায়। কিন্তু ভালো খবরের কোনো প্রভাবদেখা যায় না।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের রিজার্ভের সঙ্গে শেয়ারবাজারের সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই। অথচ রিজার্ভের নেতিবাচক খবরের বড় টার্গেট হয়েছে শেয়ারবাজার। গত কয়েক দিন শেয়ারবাজারে ভালো ভালো খবর বেরিয়েছে। যার মধ্যে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নতুন চেয়ারম্যান, নতুন কমিশন, সরকারি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে অফলোড করার প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা, সরকারের কাছ থেকে আইসিবির বড় অর্থ প্রাপ্তির সম্ভাবনা ইত্যাদি। তারপরও আজ বাজারে এভাবে বড় পতন কোনোভাবে কাংখিত নয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন