ঘামাচি কেমন: ত্বকে লাল লাল দানার মতো করে দেখা দিয়ে থাকে ঘামাচি। অনেক সময় ব্লিস্টার বা ছোট ফোঁড়ার মতো হয়ে থাকে ঘামাচি। প্রচুর চুলকায়ও। কখনো কখনো ত্বক লালচে হয়ে যায়।
ঘামাচি কোথায় বেশি হয়: শরীরের যেসব স্থানে ঘাম বেশি হয়, যেমন বগল, হাঁটু বা কনুইয়ের ভাঁজে বেশি হয়ে থাকে ঘামাচি। আবার পিঠেও হতে দেখা যায়। যেসব শিশুদের ডায়াপার পরানো হয় তাদের ডায়াপারের স্থানে, মুখে ও মাথায়ও হয়ে থাকে ঘামাচি।
ঘামাচি হওয়ার কারণ: ত্বকের লোমকূপে থাকা ঘর্মগ্রন্থির মুখ গরম ও ঘামের জন্য বন্ধ হলে ওই জায়গা লাল হয়ে ফুলে যায়। এটাই হচ্ছে ঘামাচি। আর নবজাতক ও ছোট শিশুদের ঘর্মগ্রন্থি পুরোপুরি তৈরি না হওয়ার কারণে তাদের ক্ষেত্রে ঘামাচি বেশি হয়।
ঘামাচি হলে করণীয়: শরীর ও ত্বক শীতল রাখতে পারলে স্বাভাবিকভাবেই ঘামাচি সেরে যায়। তিন সপ্তাহের মতো সময় লাগে ঠিক হতে। গোসল করলে স্বস্তিকর অনুভূতি হয়। আবার বারবার গোসল করলে ত্বক শুষ্ক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ঘামাচি নখ দিয়ে আঁচড়ালে বা চুলকালে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তবে ঘামাচির তীব্রতা যদি বেশি হয় তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী লোশিও ক্যালামাইন বা স্টেরয়েড ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
নিজের করণীয়: বসবাস বা কাজের জায়গায় মুক্ত বাতাস চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। পরনের পোশাক পাতলা ঢিলেঢালা সুতির কাপড়ের হলে ভালো, এর মধ্য দিয়ে বাতাস সহজেই চলাচল করতে পারে। ঘেমে গেলে সঙ্গে সঙ্গে পোশাক পরিবর্তন করুন। শিশুদের ক্ষেত্রে তাদের ডায়াপার ভিজে গেলে পরিবর্তন করুন। ত্বকের ভাঁজগুলো কাপড় দিয়ে শুষ্ক করে নিন। শিশুদের পরনের পোশাক সুতি কাপড়ের হলে ভালো। প্রয়োজনে খালি গায়ে ফ্যানের নিচে রাখুন। শোয়ানোর জায়গায় কখনো প্লাস্টিকের মেট্রেস ব্যবহার করা যাবে না।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন